খুলনা ডব্লিউএমএনসিডি জানায়, পার্ক কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছায় প্রাণীগুলোকে হস্তান্তর করেছে। এ জন্য তাদের কোনো জরিমানা করা হয়নি। উদ্ধার ৬ প্রজাতির ১৪টি বন্য প্রাণীই সুন্দরবনে পাওয়া যায়। সবগুলো প্রাণী সুস্থ আছে। তবে হরিণ, ময়ূর ও ইমু পাখি লালন-পালনের জন্য বিনোদন কেন্দ্র থেকে এরই মধ্যে বন বিভাগের কাছে আবেদন করায় ওই প্রাণীগুলোকে জব্দ করা হয়নি।
ডব্লিউএমএনসিডি খুলনা কার্যালয়ের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, উদ্ধার বন্য প্রাণীগুলোকে অবৈধভাবে ওই পার্কে রাখা হয়েছিল। পার্ক কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল বুঝতে পেরে এগুলো হস্তান্তরের জন্য বন বিভাগের কাছে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাণীগুলোকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পার্ক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, নানা সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন তাদের প্রাণীগুলো দিয়েছে। এর কয়েকটি তারা অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে এখানে এনে সুস্থ করেছে।
মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ডব্লিউএমএনসিডির খুলনা কার্যালয়ের আওতাধীন ২১টি জেলায় যেসব অবৈধ মিনি চিড়িয়াখানা রয়েছে, এর সবগুলোতেই নিয়মিতভাবে অভিযান চালানো হবে। সুন্দরবন রিসোর্ট অ্যান্ড পিকনিক কর্নার প্রাণীগুলোকে স্বেচ্ছায় বন অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এর আগে গত বছরের ১৫ নভেম্বর ‘চন্দ্রমহল ইকোপার্ক’ নামে বাগেরহাটের আরেকটি বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ২৭টি বন্য প্রাণী ও ৬টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। সে সময় ওই পার্ক কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।